শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
রিয়াদ: মধ্যপ্রাচ্যের গোড়া দেশ সৌদি আরবে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। একের পর এক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে সৌদি সরকার। এবার বিনোদন খাতের উন্নয়নে সাড়ে তিন’শ সিনেমা হল নির্মাণ করবে সরকার।
যার ফলে কট্টরপন্থি থেকে মধ্যপন্থি হওয়ার দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে সৌদি আরব।
ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী বিনোদন খাতে জিডিপির হার তিন শতাংশ থেকে ছয় শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের নাগরিকরা বিনোদনের জন্য প্রতিবছর দেশের বাইরে গিয়ে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। এখন থেকে দেশের অর্থ দেশেই রাখার চেষ্টা করা হবে।
এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দেশটির সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ বিন সালেহ আলওয়াদ এক বিবৃতিতে বলেন, সৌদিতে ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যেই প্রথম সিনেমা মুক্তি পাবে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ এ খাতে স্থায়ীভাবে ৩০ হাজার এবং অস্থায়ীভাবে আরও ১৩ হাজার মানুষের কর্মস্থান হবে বলেও সৌদি সরকার আশা প্রকাশ করছে।
সৌদি গেজেটের সংবাদ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে সাড়ে তিন’শ সিনেমা হল তৈরি করা হবে। সেসব সিনেমা হলে প্রায় দুই হাজার পাঁচ’শ পর্দায় চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
এদিকে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালাতে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর ইতোমধ্যেই নারীদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনেরও অনুমতি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীতে ব্যাপক ভিড়ও দেখা গেছে।
এছাড়াও আগামী ৩০ মার্চ সৌদি আরবে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কনসার্টের টিকিট বিক্রিও শুরু হয়। আবার টিকিট বিক্রির ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই সবগুলো টিকিট বিক্রি হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
সৌদি নারীরা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে পারবে: নিরাপত্তা বিভাগ
রিয়াদ: সৌদি আরবের নারীদের জন্য সামরিক বাহিনীতে চাকরির সুযোগ দেয়া হয়েছে। দেশটির সরকার ঘোষণা করেছে, এখন থেকে দেশের নারীরা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পাবে।
সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান যে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছেন তার আওতায় এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অবশ্য, সৌদি আরবের সব এলাকার নারীরা এ সুবিধা পাবে না। প্রাথমিকভাবে রিয়াদ, পবিত্র মক্কা, আল-কুসাইম ও পবিত্র মদীনা এলাকার নারীরা সামরিক বাহিনীতে চাকরির সুবিধা পাবে।
সৌদি আরবের সাধারণ নিরাপত্তা বিভাগ এক বিবৃতিতের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতদিন সৌদি নারীরা এসব চাকরি করতে পারত না। এমনকি গাড়ি চালানোর অনুমতি পর্যন্ত ছিল না।
সেক্ষেত্রে যুবরাজ সালমানের এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা পাচ্ছে তবে, তার এই ভিশন ২০৩০ কর্মসূচির আওতায় এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা প্রকাশ পেয়েছে যা সৌদি সমাজ ও ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ নিয়ে সমালোচনাও তৈরি হয়েছে।